আমার গ্রাম-আমার শহর: পাইলট গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প
প্রকল্পের পটভূমি
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন বিশ্বব্যপী প্রশংসিত ও সমাদৃত। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা এখন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা সর্বোপরি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেশীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এছাড়াও, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উত্তরণ ঘটেছে। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, দারিদ্র্যমুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার, মানবসম্পদ, পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারায় অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির প্রয়োজনে দেশব্যাপী সুষম, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। দেশের গ্রামাঞ্চলগুলো এখনও তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। সামগ্রিক উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় রাখতে গ্রামে নাগর সুবিধা সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেশের ৬৮.৪৯% (তথ্যসূত্র- জনসুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদন, বিবিএস) জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করে । সেহেতু দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে গ্রাম। এ বাস্তবতার প্রেক্ষিতে সাংবাধানিক বাধ্যবাধকতার আওতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষম ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করার দৃঢ়প্রত্যয়ে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালার সুপারিশের ভিত্তিতে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে, যা পথনির্দেশিকা হিসেবে ইতোমধ্যে সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে। উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বিগত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়।