Wellcome to National Portal
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-১), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)

মোঃ আলি আখতার হোসেন

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এলজিইডির জ্যেষ্ঠতম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২), এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকা, জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেনকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

 

জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৬৫ সালে ২০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলাউদ্দিন মন্ডল এবং মাতার নাম হাজেরা খাতুন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৮০ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আলীনগর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনা (বর্তমানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট) থেকে পুরকৌশলে স্নাতক এবং ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগ দিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহু প্রকল্প প্রস্তুতকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পরপর তিনবছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশ ব্যাপী (বিশ্বব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন। তিনি বর্তমানে এলজিইডির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো।

 

জনাব আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান। এসময় তিনি এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকায় ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩ মার্চ ২০২৩ থেকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) হিসেবে পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

চাকুরীতে যোগদানের পর পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কারিগরী, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে মোট ৩০টি প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল. শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, জার্মানী, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

 

জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেনের সহধর্মিনী নিলিমা জাহান কাকলী। তিনি একপুত্র (আল ইনজামাম আখতার) ও এক কন্যা (মিহদা লুবান আখতার) সন্তানের জনক।

 

জনাব মোঃ আলি আখতার হোসেন একজন মেধাবী, চৌকস, সৎ এবং দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে দাপ্তরিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি এলজিইডির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে তথা আধুনিক শহর ও গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।