উত্তরাঞ্চলীয়জেলা লালমনিরহাট ও রংপুরের মধ্যেসংযোগ স্থাপনকারী তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত‘শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু’ এবং পূর্বাঞ্চলীয় জেলাব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীর ওপর নির্মিত‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ যান চলাচলের জন্যআনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ গণভবন থেকেভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দুটি জেলারজনপ্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের মানুষেরসঙ্গে কথা বলার মধ্যদিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু দুটি উদ্বোধনকরেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৮৫০ মিটার দীর্ঘও ৯ দশমিক ৬মিটার প্রস্থের ‘শেখ হাসিনা তিস্তাসেতু’ নির্মাণ করেছে।এতে ব্যয় হয়েছে ১২৩কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।১৭টি স্প্যানের এই সেতু নির্মাণেরফলে বুড়িমারি স্থলবন্দর হয়ে ভারত, নেপালও ভূটানের সঙ্গে সড়ক পথে যাতায়াতদ্রুততর হবে। সেতুটি এলাকারকৃষি ও শিল্পজাত পণ্য,চিকিৎসা, পর্যটন ও আমদানি-রফতানিবাণিজ্যে গতি সঞ্চার করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ চালু হওয়ার ফলে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বাঞ্ছারামপুর সদরের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং হোমনার সঙ্গে কুমিল্লা শহরের দূরত্ব ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার কমে এসেছে। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া ও ঢাকার পূর্বাচল হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সঙ্গে মুরাদনগর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৭৭১ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ নির্মাণ করেছে, যাতে ব্যয় হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, উভয় সেতুতে পথচারীদের জন্য ফুটপাথ, রাতে নিরাপদে চলাচলের জন্য বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপদ নৌযান চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ বন্যাসীমা থেকে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত উচ্চতা। রয়েছে সংযোগ সড়ক।