Wellcome to National Portal
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ
সিনিয়র সচিব
স্থানীয় সরকার বিভাগ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত সচিব জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ ৩০ মে ২০১৯ তারিখে সচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমাবয় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে যোগদান করেন। গত ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ইতিপূর্বে তিনি ৩০ জুলাই ২০১৭ তারিখে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত ছিলেন ৩০ মে ২০১৯ পর্যন্ত। তিনি ২৩ মে  ১৯৬৩ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের Duke University হতে ওরিয়েন্টেশন ডিগ্রি অর্জন করেন।  

 

জনাব হেলালুদ্দীন আহমদ (আইডি নং-৪৫৫৮) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এর কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কিশোরগঞ্জে তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর ম্যাজিস্ট্রেট, ৪টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উপসচিব, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে ২০০৯ সালের মার্চ হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলায় কাজ করেছেন। এরপর Bangladesh Overseas Employment and Services Limited (BOESL) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মাঠ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ বিভাগীয় কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন; রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার পদে প্রায় দুই বছর এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার পদে এক বছরের অধিককাল দায়িত্বরত ছিলেন।

 

চাকুরিতে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিসিএস ওরিয়েন্টেশন কোর্স, স্পেশাল ফাউন্ডেশন কোর্স, আইন ও প্রশাসন কোর্স, ভুমি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবেলায় পরিকল্পনা ও  ব্যবস্থাপনা, ম্যানেজিং অ্যাট দ্য টপ-২, প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা প্রোগ্রাম, ইউনিভার্সালাইজেশন অব প্রাইমারি এডুকেশন ইত্যাদি।

 

প্রশিক্ষণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও নেপালসহ তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।  

 

চাকুরি ছাড়াও তিনি সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত। তিনি বর্তমানে বিসিএস ’৮৫ ফোরামের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, তিনি  ঢাকাস্থ রামু সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রাম সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি।

 

রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালে “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনায় পরিকল্পনা, নেতৃত্বদান ও সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাকে শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনারের পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও ভুমি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদানের জন্য “Public Service Innovation” পুরস্কার পেয়েছেন।

 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার জনক। তিনি জনকল্যাণমুখী সরকারি কর্মকর্তা, জনসাধারণকে সেবা করাই তার মূল লক্ষ্য। দীর্ঘ চাকুরি জীবনে তিনি সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও প্রগতিশীলতার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।